Posts

Showing posts from 2018

Ştɣʟısʜ Pʀɩŋcɘ

Image
মেয়েটির সাথে ছেলেটির সম্পর্ক আজ প্রায় ৫ বছর। ছেলেটি মেয়েটিকে একদিন একটি বারবি ডল উপহার দিয়েছিল। ছোট্ট একটা কোম্পানিতে সামান্য কিছু বেতনে চাকরি করতো বিধায় ইচ্ছা থাকলেও বড় কিছু কিনে দেবার সামর্থ্য ছিল না তার।ছেলেটি ভাবতো সে যদি মেয়েটিকে বিয়ে করে তবে সারা জীবনেও তাকে ঐশ্বর্যের সুখ দিতে পারবেনা। হঠাৎ কোনও এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় মেয়েটি সেই ছেলেটির বাসার সামনে এসে হাজির।মেয়েটি বললো,আগামি কাল সন্ধ্যায় সে তার বা মার সাথে প্যারিসে চলে যাচ্ছে এবং সেকোনও দিনও ফিরবে না।সুতরাং তাদের সম্পর্ক আজ এখানেই শেষ।ছেলেটি কি বলবে বুঝতে পারছিলো না,তবে চোখের পানি সামলে নিয়ে শুধু আস্তে করে বললো“ঠিক আছে” পরদিন সন্ধ্যা... আজও গত দিনের মতো বৃষ্টি হচ্ছে।ছেলেটি এক কাপ চা হাতে বারান্দায় দাড়িয়ে ছিল। হঠাৎ খেয়াল করে দেখলো দূর আকাশে একটি প্লেন ভেসে চলেছে।গন্তব্য জানা না থাকলেও ছেলেটি বিড় বিড় করে আপন মনে তার ভালবাসার মানুষটিকে দূরথেকেই গুড বাই জানালো। রাত ১ টা... ছেলেটি ঘুমোতে পারছে না।কয়েক ডোজ ঘুমের ওষুধ খেয়ে চোখ মুখ জ্বালা করছে তবুও ঘুম নেই।যেই মানুষটিকে ভেবে ভেবে সে প্রতি রাত পার করেছে,যাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে...

Ştɣʟısʜ Pʀɩŋcɘ

Image
হয়ত তোমাকে একটু বেশি ভালবাসতাম, তোমাকে হারানোর ভয় টা একটু বেশি ছিল, তোমাকে নিয়ে স্বপ্নটা একটু বেশি ছিলো , কিন্ত কোন স্বার্থ নিয়ে তোমাকে ভালবাসিনি, স্বার্থ ছিল একটাই তোমাকে আপন করে নেওয়া, কখনো জানতাম না কাউকে বেশি চাওয়া টা ভুল, মাঝে মাঝে ভাবি কিসের এত নির্ঘুম রাত কার জন্য আর্তনাদ, কার আশায় পথ চেয়ে থাকা ? কার জন্য এত অপেক্ষা ? কার জন্য চোখের জলের বন্যা ? যার জন্য এত কষ্ট সে তো সুখে আছে , তার সুখ তো আমি চেয়েছিলাম ....

Ştɣʟısʜ Pʀɩŋcɘ

Image
জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে। যত বুক ভরা দুঃখ কষ্ট নিয়ে। ফিরবো না কোনো দিন এই পৃথিবীতে। কোনো কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে।। জানি একদিন ভুলে যাবে সবাই, আমার সৃতি মুছে যাবে ধারায়।। জানি একদিন এক মূহুর্ত মনে পড়বেনা আমার কথা।। ফিরবো না কোনো দিন এই পৃথিবীতে।। কোনো কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে। জানি একদিন ভুলে যাবে সবাই দূর থেকে দেখবো সবার এই ভুলে যাওয়া।। জানি একদিন চোখ থেকে পড়বে অসরু ধারা। ,,,একদিন চলে যাব,,,
Image
তোমার দিকে তাকাতে আমার ভয় লাগে কারন আজো তোমার দিকে তাকালে মনে হয় এই বুঝি নতুন করে আবার তোমার প্রেমে পড়বো ... এই বুঝি আবার তুমি আমাকে কষ্ট দিবে... এই বুঝি আমাকে ফেলে দূরে চলে যাবে... তখন কোন এক অজানা ভয়ে নিজেকে সরিয়ে আনি তোমার কাছ থেকে...কিন্তু শরীর টাকে সরিয়ে আনতে পারলেও মনটাকে আমি রেখে আসি তোমারি কাছে কোন এক অজানা ভালবাসার টানে... সত্যি অনেক ভালবাসি তোমায়..
Image
কলেজে থাকাকালীন তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা। জানিনা কেন তোমাকে আমার তখন এতটুকুও ভাল লাগত না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাসে তোমাকে দেখার সাথে সাথে মনে হয়েছিল, উফ! এ মেয়েটি এখানে কেন? না চাওয়া স্বত্বেও যাওয়া আসা তোমার সাথেই করতে হত। এরপর হয়তো কোন এক প্রয়োজনে তোমার সাথে আমার প্রথম কথা বলা। ধীরে ধীরে জানতে শুরু করি তোমার মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত তোমাকে । তোমার সবকিছুতেই যেন ছিল হাসি জড়ানো। কষ্টের মাঝেও তোমার সেই ঝলক মার্কা হাসি যেন থাকবেই। তোমার সেই দুরন্তপনা, স্বচ্ছতা সবই যেন আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। তোমাকে বিরক্ত করলে তুমি যে চেহারাটা বানাতে তা যেন আজও আমার চোখে ভাসে। ভাবতেই হাসি পায়। কেমন অবুঝের মতই না প্রতিটি কথায় তুমি অভিমান করতে। তোমার প্রতিটি জিনিসই তোমার দিকে আমাকে আরো ঝুঁকিয়ে তোলে। তখন কলেজ জীবনের কথা মনে পড়লেই মনে অজান্তেই কেন জানি হেসে উঠতাম। তুমিও হাসতে। তোমার মনে আছে, শেষ বারের মত যখন আমরা একসাথে বাড়ি ফিরছিলাম সে রাতটির কথা? কেন জানি জোর করেই তুমি বসেছিলে জানালার পাশের সিটটাতে। তোমার এসব কারণ ছাড়া জেদের কথা মনে পড়লে আজও হেসে উঠি। তুমি কি জানো আমি তখন মনে মনে তোমাকে স...
Image
,,,,,,নীল শাড়ি গল্প,,,,, – কতদূর আসছো..? — এইতো বাসে, রাস্তায় খুব জ্যাম… – আচ্ছা আসো, আমি এখন বের হবো… — এই শোন..? – বলো… — আজকে নীল শাড়িটা পড়ছো তো..? – আহা ! নীল শাড়ি ছাড়া আর কোন শাড়ি নাই বুঝি..? — আছে তো, কিন্তু নীল শাড়িতে তোমাকে খুব ভালো মানায়, একদম নীলপরীর মতো… – উফফ ! আমি রাখছি… — এই শোন, আরেকটা কথা… – আবার কি..? — হাতে লাল চুড়ি পড়তে ভুলনা আবার… – এই শোন, আমি নীল শাড়িও পড়িনি আর লাল চুড়িও না… সব সময় তোমার পছন্দমত চলবে না, আজকে আমি আমার পছন্দমত পড়ে আসবো… রাখলাম… . কথাটা বলেই ফোন রেখে দিলো তুশি… ইমুর মন খারাপ হয়ে গেল… ভাবছে এরকম তো আগে কখনো বলেনি… আজকে আমার কথা শুনলো না, কাহিনী কি..? ভাবতে ভাবতে ইমু পার্কের পছন্দের জায়গায় গিয়ে বসলো… মন খারাপ করে বসে আছে ছেলেটা… হঠাৎ তুশির ফোন আসলো – . – এই আমি এসে পড়েছি, তুমি কোথায় আছো..? — আগেরবার পার্কে যে বেঞ্চটাতে বসেছিলাম, আমি ওখানে আছি… – আমাকে এসে নিয়ে যাও… — আচ্ছা তুমি থাকো আমি আসতেছি… . মন খারাপ তবুও চলে গেলো তুশিকে নিয়ে আসতে… যেতে যেতে হঠাৎ যেটা দেখলো সেটা কখনো ভাবেনি ইমু… দেখলো ইমুর কথামত ঠিকই তুশি নীল শাড়ি পড়েছে… দ...
Image
কাল কিন্তু তুমি নীল রঙের পাঞ্জাবি পড়বে ।আর আমি পড়বো নীল রঙের শাড়ি ।সাথে নীল টিপ ও রেশমি চুড়ি । ঘুম জড়ানো কন্ঠে জানতে চায় হৃদয়- কেনো কাল কি দিবস?যার জন্য এত সাজুগুজু !মানে!তোমার মনে নাই কাল কত তারিখ?কি দিবস?ওই বজ্জাত পোলা,উঠ্ ঘুম থেকে উঠ্ আগে ।তারপর তোরে বলতেছি,কাল কি দিবস! কট করেই লাইনটা কেটে মোবাইলটা খাটের উপর আছাড় মারে লাবন্য । রাগে দুঃখে দুচোখ ঝাপসা হয়ে আসছে তার ।এমন একখান মানুষের সাথে প্রেম করেছে,যে কিনা কিছুই মনে রাখে না । তাকে সব কিছুই মনে করিয়ে দিতে হয় লাবন্যর ।এতটা বেখেয়ালী ছেলে! সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে বলতে পারবে না ।ঘুম ভাঙলো মোবাইলের রিং টোনে । ঘুমের ঘোরেই রিং টোনের আওয়াজ শুনে বুঝতে পেরেছে লাবন্য - -হ্যালো.... -বউ এখনো ঘুমাচ্ছো !আমি নীল পাঞ্জাবি পড়ে বসে আছি সাথে লুঙ্গি! লুঙ্গির কথা শুনেই ,লাবন্য ঘুম ঘুম ভাবটা একেবারে উঠে গেছে । বেড থেকে উঠে বসে ।ঘড়ি দেখলো ১০টা বাজে ।আরি বাপস!অনেকক্ষন ঘুমিয়ে ফেলেছে । -হ্যালো....বউ কি ব্যাপার কথা বলছো না কেনো ?আমি তো রেডি ।বলো কোথায় আসতে হবে ? -তুমি লুঙ্গি পরে আসবা TSC,পাঞ্জাবির সাথে !? ঘোর কাটিয়ে জবাব দিল লাবন্য । -আরে বউ ল...

Ştɣʟısʜ Pʀɩŋcɘ

Image
‘অ্যাই, শুনছো? অ্যাই! ঘুম ভাঙছে না বুঝি?’ নীলার কানের কাছে প্রায় ফিসফিস করে পাঁচ মিনিট ধরে ডেকে যাচ্ছে নীল। কিন্তু ভালোবাসা মাখা সেই ডাক যেন কানেই যাচ্ছে না নীলার। শরীরটা ভালো না তার। তাই হঠাৎ করে তাকে ডেকে তুলতে চাচ্ছে না নীল। মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে আরেকবার ডাকায় আস্তে করে চোখ মেললো নীলা। নীলের মুখে হাসি ফুটলো। প্রতিদিন সকালে নীলার ঘুম থেকে ওঠার দৃশ্যটা সে কখনোই মিস করে না। কেন যেন এই দৃশ্যের মাঝেও অনেক মানসিক শান্তি খুঁজে পায় সে। ‘আমাকে যে অফিসে যেতে হবে!’ বলল নীল। ‘ওহ! কয়টা বাজে?’ ‘প্রায় সাতটা।’ ‘ও।’ মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল নীলের। নীলা কিছুই বললো না। ওর শরীরটা আসলেই ভালো না। অন্যান্য দিন এমন সময় নীলা ব্যস্ত হয়ে দৌড়াদৌড়ি করে নীলের জন্য নাস্তা রেডি করে। নীলও যতোটা সম্ভব নীলাকে কাজে সাহায্য করে। কিন্তু আজ নীলার শরীর খারাপ বলে তাকে আর ডাকেনি নীল। যাবার মূহুর্তে বলে যাওয়ার জন্যই ঘুমটা ভেঙ্গেছে নীলার। ‘আমার আজকে অফিসে যাওয়া একদমই উচিৎ নয়, কিন্তু আজ এমনই কিছু কাজ আছে যে না গিয়েও পারছি না,’ মন খারাপ করে কৈফিয়তের সুরে নীলার কানের কাছে বললো নীল। নীলা তার দিকে না তাকি...